Skip to main content

রোমান্টিক ভালবাসার গল্প "খুনশুটি ভালবাসা"


((খুনশুটি ভালবাসা))


 -কিরে কই যাইস?? বিলটা দিয়া যাহ!!(ঝিমি)
-মানে কি!??আমি দিমু কেন??(আমি)
-তুই দিবি না তোহ কে দিবে?
-ও খোদা খাওয়াইলি তুই আর বিল দিমু আমি!!!  আযব ব্যাপার তোহ!! তুই দিয়া দিস আমি গেলাম।।
- অই কুত্তা অই বিল দিয়া যাহ।।
হিহিহিহি আমায় আর পায় কে।আমি আবির আর উনি হইলো আমার কলিজার দোস্ত।।আমরা ঢাকায় একসাথেই অনার্স করছি।  কিন্তু সমস্যা হইলো আমি অরে একদম সজ্য করতে পারি নাহ। কারন তিনি আমার আম্মুর কাছে আমার থেকেও প্রিয়। তবে সজ্য করতে না পারলেও অরে ছাড়া কেম্মা যেন ফাকা ফাকা লাগে। একসাথেই ঘুরি সবসময়।।কিন্তু সুযোগ পাইলে বাশ দিবার ছারি নাহ যেমন আজ দিলাম। হোটেলে খাওয়াদাওয়া করে উটব। তখনি উপরের কথা গুলা বল্ল। কিন্তু এখন ওর কথা শোনার সময় নাই শুনতে গেলে পকেট খুলে যাবে শার্ট থেকে।। তাই পকেট বাঁচাইতে এক ছুটে বাড়ি চইলা আসলাম। । এসেই ফ্রেশ হয়ে একটা লম্বা ঘুম দিলাম।।ঘুম ছাড়া জ্বীবনে আর আছে কি বলুন?? ঘুম থেকে উটলাম। উইঠা দেখি অনেক গুলা মিস কল। হুম ঝিমির ফোন।। ব্যাক করলাম!!
-কিরে শয়তানের নানা এতক্ষন কি পাতালে উইড়া উইড়া হাডুডু খেলছিলেন??(ঝিমি)
-না জানু আমি তোহ তোমার নানির সাথে ভলিবল খেলছিলাম।।(আমি)
-চুপ থাক ফইন্নি।।তুই একটু আমাদের বাসাতে আয় তোহ। দরকার আছে!
-কি দরকার??
-কুত্তা তোরে দিয়া বাসন মাজাবো আমাদের কাজের বোয়া ছুটিতে গেছে ।।
-আচ্ছা তাইলে আসছি নাহ। থাক বাবুনি!
-তোকে এখনি আসতে বলছি আসবি ব্যাস। না আসলে পরে কি হইতে পারে আশা করি বুঝতেই পারবি??
-না সোনা আসছি।
-হুম
ছূটলাম আবার তাদের বাসায়। বিকাল হইয়া গেছে  ।। একটু ভাব নিয়াই হাটছিলাম কানে ইয়ারফোন গুজে  ।।  হঠাত ওদের বাড়ির সামনে আসতে কে যেন আমার নাম ধইরা ডাক দিল!!
-আপনি আবির নাহ??(অচেনা মাইয়া)
-জ্বী। কিন্তু কেন?(আমি)
-না মানে আপনি তোহ ভারচুয়ালে কিছু লেখালেখি করেন তাই নাহ?
-অই একটু একটু।
-হুম আমি আপনার গল্পের বড় ফ্যান।। আর এখন আপনারো।।
-মানে?? (যদিও মনে মনে লুংগি ড্যান্স মারছি তবুও ভদ্র সাজছি একটু)
-মানে আপনাকে বুঝতে হবে নাহ!! আসলে আমি অনন্যা। এই বিল্ডিং এর নিচ তলায় থাকি। আর আপনাকেও মাঝে মাঝে দেখি এখানে আসতে। তবে আগে জানতাম না যে আপনিইই সে রাইটার!!!
-অহ আচ্ছা।
-হুম সো আমরা,,,,,,,
আর কিছু না বলতেই উপর থেকে কেও হুংকার দিয়ে উটলো,,
-অই তুই অখানে কি করিস??  তাড়াতাড়ি উপরে আয়।। ১সেকেন্ড সময়ও যেন না লাগে!!!(ঝিমির গলা)
উপরে তাকিয়ে একটু বিরক্তিইইই হইলাম।।এই ফইন্নি মাইয়া আমায় কখনই অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে দেয় নাহ।। কোথায় একটু ভাবেএ আছি যে অন্ততপক্ষে কেও তোহ এই পৃথিবীতে এখনো আছে যে আমার ফ্যান। বাহ ভাবলেই কেমন যেন গা শিউরিয়ে উটছে।। কিন্তু অই ফাযিল মাইয়া সব মুড মাটি কইরা দিল।।
-আচ্ছা এখন থাকো পরে দেখা করব।।( আমি)
-আচ্ছা বাই(অনন্যা)
বলেই ওর থেকে বিদায় নিয়ে চইলা আসলাম ঝিমির বাসাতে ।। আসতেই ঝাড়ি খাইতে হচ্ছে। কেন আমি ওর সাথে কথা বললাম কেন দারালাম ইত্যাদি ইত্যাদি,, আসলে মাইয়াদের মাঝে হিংসা বেশি। একজন আরেকজনের নামে বদনাম করে বেরায়।।
-অই তুই আমায় ঝাড়ি খাওয়ানোর জন্য ডাকছিস??(একটু রেগেই বললাম)
-কেন আমি তোকে ডাকতে পারি নাহ??(ঝিমি)
-দেখ তোর হুদাই প্যাচাল শোনার সময় নাই। আমি গেলাম। কোনো কাজ থাকলে বল!!(একটু ভাব লইলাম।)
-আমি হুদাই প্যাচাল পারছি!??আমার কথা তোর ভাল লাগে নাহ তাই নাহ??!
-অবশ্যই লাগে নাহ!তোর হুদাই প্যাচাল শুনতে আর ভাল লাগছে নাহ আমি গেলাম।।
- অহ আচ্ছা।আমিই তোকে সবসময় ড্রিস্টাব করি তাই নাহ?? তোর একবারো ইচ্ছে করে না আমার সাথে কথা বলতে!!!(চোখে পানি আসছে মনে হইলো)
-নাহ।।(যাক এখন তাও একটু কম জালালে বাইচা যামু)
-আচ্ছা।।
-হুম আমি আসি বাই।।
-হুম।
বলেই চইলা আসলাম বন্ধুদের কাছে।। দিনকাল এভাবেই যাচ্ছে। কলেজ টু বন্ধু আর বন্ধু টু বাড়ি  ।। এই আমার ঘুড়াফেরা।  কিন্তু ঝিমি কে ইদানিং কেমন যেন লাগছে।।!!!!  আগের মতো কথা কয় নাহ।। ওর বাসাতেও যাইতে বলে নাহ আগে মাঝে মাঝে ওর বাসায় আড্ডা দিতাম।। আমাদের বাসাতেও ও আসতো।। খুব মিস করছি ওর পাগলামি গুলা।।। ফোনও তোহ দেয় নাহ আর।। যাই হোক এভাবে আর হচ্ছে নাহ!আমি ফোন লাগালাম,,
-হ্যালো জানু কি খবর?(আমি)
-হুম ভালই।(ঝিমি)
-আমায় জিজ্ঞেস করলি নাহ আমি কেমন আছি??
-নাহ। তুই তো ভালই থাকবি!!
-অহ। আমাদের বাসায় আয় আম্মু আসতে বল্লল তোকে!!
-সরি রে!!
-কেন কি হইছে??
-না মানে বাইরে যাওয়া যাবে নাহ আর!!
-কেন বডিগাড লাগলে আমি আসছি দাড়া!!
-না রে আসলে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।,,

Comments

  1. নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প পড়তে ভিজিট করুনwww.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete

  2. আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলো পড়তে অনেক লাগে।
    আশা করি এ ভাবেই নতুন নতুন বিষয় সব সময় আমাদর উপহার দিবেন ।
    আপদের দেখে উৎসাহিত হয়ে আমি একটা ওয়েব সাইট তৈরি করেছি ।
    আরো দেখুন ভালোবাসার গল্প Love story

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

দুষ্ট মিষ্টি ভালবাসার রোমান্টিক গল্প '' কোল বলিশ "

====="কোল  বলিস"=============  একদম আমাকে স্পর্শ করবেন না। ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে, খাটে এসে বসলাম। খাটের ঠিক মাঝখানে একজন মেয়ে লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে। মেয়ে বলছি ক্যান, এখন তো নতুন বউ। হ্যা ঠিকই ধরেছেন, মেয়েটা এখন আমার বউ। বাবা মায়ের পছন্দে বিয়েটা করেছি, বিয়ের আগে দেখা করা তো দুরের কথা একবার কথাও বলিনি। বলার প্রয়োজনও মনে করি নী। কারন বাবা মায়ের উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। আর কোন বাবা মা চাইনা তার সন্তান কষ্ট পাক। বিয়ে করে আসার পরে নানান, রতি নীতি শেষ করতে গিয়ে, বউয়ের সাথে কোন কথাই হয়নি। বন্ধুদের সাথে কিছু গল্প গুজব করে নানা রকম সাজেসন নিয়ে ১১ টার দিকে বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম। ঘরে ঢোকার আগে ভাবিরা সব বার বার করে বলে দিয়েছে, দেবরজি বেড়াল মারা চাই কিন্তু । এখানে এসে দেখি তার বিপরিত। যখনই বউয়ের ঘোমটা তোলার জন্য হাত বাড়িয়েছি, যে এত দিন না দেখা চাঁদবদন মুখটা প্রান ভরে দেখব ঠিক তখনই বউ ওই কথাটা বলল। ---কেন ঘোমটা উঠাব না কেন, তুমি এখন আমার বউ। আমার অধিকার আছে, তোমাকে স্পর্শ করার। ---চাইলে আপনি আপনার অধিকার আদায় করতে পারেন, তবে আমার মনটা পাবেন না, দেহ ছাড়া। ---তোমার কি কা

রোমান্টিক প্রেমের গল্প "মিষ্টি বউয়ের ভালোবাসা"

আজ অফিস থেকে বাসায় এসে কলিংবেল টা বাজাতেই ফট করে দরজা খুলে গেলো। প্রতিদিন যেখানে ২ - ৩ মিনিট দাড়িয়ে থাকতে হতো । আর আজ কলিংবেল বাজানোর সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো। দরজা খুলতেই চমকে গেল হিমাদ্র। দেখে নীলিমা সামনে দাড়িয়ে! ------------ ------------ - অফিস থেকে আসতে কত সময় লাগে হ্যাঁ! ( নীলিমা রগচটা মেজাজে কথাটি বললো। হিমাদ্র চমকে উঠে বোবা হয়ে গেলো। যে মেয়েটির সাথে এক বছর হলো কোন যোগাযোগ ই নেই । সে আজ হিমাদ্রর সামনে দাড়িয়ে।) - তুমি! - ঐ আমি কি। হুম। ( চেয়ে আছে হিমাদ্র নীলিমার দিকে। কত দিন পর দেখছে। এমন সময় হিমাদ্রের মা এসে।) - কিরে এভাবে দাড়িয়ে আছিস মানে। ( হিমাদ্র ভয়ে।) - মা ও কে? - আমার বউ মা। - কি বলো এগুলা। - হুম সত্যি। - আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না। - তাই না। বৌ মা একটু বুঝাও তো। ( মা চলে গেলো। নীলিমা এসে হিমাদ্র কে চিমটি।) - ইস কি হচ্ছে। ( পিছনে তাকিয়ে নীলিমার দিকে তাকিয়ে রইলো হিমাদ্র। নীলিমার চোখগুলো অনেক কথা বলছে। যা মুখের ভাষায় নয় চোখের ভাষা দিয়েই বুঝে নিতে হয়। এবার আরেক চিমটি) - ইস এরকম করো কেন! - কি রকম করি হু। - তুমি এত দিন কোথায় ছিলে। - তোমার চোখের আড়

দলিল,খতিয়ান,ফর্সা,ফরায়েজ,খাজনা,নামজারি,দাগ ইত্যাদি কি বিস্তারিত জেনে নেই

= খতিয়ান: মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। . = সি এস খতিয়ানঃ ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত। . =এস এ খতিয়ানঃ ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্