Skip to main content

রোমান্টিক প্রেমের গল্প "মিষ্টি বউয়ের ভালোবাসা"


আজ অফিস থেকে বাসায় এসে কলিংবেল টা বাজাতেই ফট করে দরজা খুলে গেলো। প্রতিদিন যেখানে ২ - ৩ মিনিট দাড়িয়ে থাকতে হতো । আর আজ কলিংবেল বাজানোর সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো। দরজা খুলতেই চমকে গেল হিমাদ্র। দেখে নীলিমা সামনে দাড়িয়ে!
------------
------------
- অফিস থেকে আসতে কত সময় লাগে হ্যাঁ!
( নীলিমা রগচটা মেজাজে কথাটি বললো। হিমাদ্র চমকে উঠে বোবা হয়ে গেলো। যে মেয়েটির সাথে এক বছর হলো কোন যোগাযোগ ই নেই । সে আজ হিমাদ্রর সামনে দাড়িয়ে।)
- তুমি!
- ঐ আমি কি। হুম।
( চেয়ে আছে হিমাদ্র নীলিমার দিকে। কত দিন পর দেখছে। এমন সময় হিমাদ্রের মা এসে।)
- কিরে এভাবে দাড়িয়ে আছিস মানে।
( হিমাদ্র ভয়ে।)
- মা ও কে?
- আমার বউ মা।
- কি বলো এগুলা।
- হুম সত্যি।
- আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না।
- তাই না। বৌ মা একটু বুঝাও তো।
( মা চলে গেলো। নীলিমা এসে হিমাদ্র কে চিমটি।)
- ইস কি হচ্ছে।
( পিছনে তাকিয়ে নীলিমার দিকে তাকিয়ে রইলো হিমাদ্র। নীলিমার চোখগুলো অনেক কথা বলছে। যা মুখের ভাষায় নয় চোখের ভাষা দিয়েই বুঝে নিতে হয়। এবার আরেক চিমটি)
- ইস এরকম করো কেন!
- কি রকম করি হু।
- তুমি এত দিন কোথায় ছিলে।
- তোমার চোখের আড়ালে।
( কথাটি ভুরু কুচকিয়ে চোখের হাসি দিয়ে বললো।)
- মানে।!
- কোন মানে নেই!
-
( আবার চিমটি)
-চলো তো ওপরের রুম টাতে।
( এমন সময় নীলিমা চিৎকার দিয়ে উঠলো মা বলে।)
- কি হলো তুমি মা কে ডাকছো কেন?
- আমি ওপরের রুম এ যাবো মানে কি হু।
- আরে পাগলি কথা আছে।
তোমার সাথে আবার কিসের কথা। কোন কথা নেই আমার।
( অন্যদিকে দিকে তাকিয়ে)
- চলো না।
- নাহ।
- কিন্তু কেন?
- তুমি আমাদের সম্পর্কের কথা এতদিনে ও কেন মা কে জানাও নি।
- তুমি তো জানো আমি মাকে দেখে খুব ভয় পাই।
- ছোট্ট বাবু তুমি নাহ!!!
- না আসলেই ভয় পাই।
- শোন আমি তোমার বউ না। তবে এ বাড়ির বউ।
- এটা কেমন কথা।
- হু তাই।
( এমন সময় মা এসে।)
- কি গপগপ করিস তোরা। যা ফ্রেশ হয়ে আয় খাবি যা।
( হিমাদ্র চলে গেলো। গিয়ে ভাবছে আমি তো স্বপ্নে এসব ভাবছি নাতো। খুব ভালোবাসে হিমাদ্র নীলিমা কে। প্রথম ভালোবাসা তাদের। হিমাদ্র ভাবছে নীলিমা মার সাথে যেমন করে কথা বলছে মনে হয় কত দিনের বউ। হিমাদ্র ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে।)
- বৌ মা ও কে ভাত বেড়ে দাও।
- আচ্ছা।
( মা চলে গেলো। হিমাদ্র নীলিমার দিকে তাকিয়ে আছে।
এদিকে নীলিমা খাবার দিচ্ছে।
কিন্তু হিমাদ্রের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। শুধু নীলিমাকে দেখছে।)
- ঐ হ্যালো। এদিকে না ওদিকে!!!! খাবার দিয়েছি।
( আর এক চিমটি)
- হু খাচ্ছি। তো।
- হু খাও।
- তুমি।
- আমি আর মা এক সাথে খাবো।
- এখনি সবাই একসাথে খাই?
- না। খাও।
- আচ্ছা!
( খাচ্ছে আর বোকার মতো খাওয়ার মাঝে মাঝে নীলিমা কে দেখছে। নীলিমা ও হিমাদ্রের খাওয়া দেখছে। এবার খাওয়া শেষ।)
- যাও। রুম এ যাও।
( বোকার মতো কিছু না বলেই উঠে চলে গেলো হিমাদ্র । রুম এ গিয়ে অপেক্ষায় আছে নীলিমার জন্য। কিন্তু নীলিমা আসার কোন হুদিস নেই। রাত তখন ১১.০০ টা। এমন সময় হিমাদ্রের ফোন এ কল আসলো একটি অচেনা নাম্বার থেকে। রিসিভ করতেই একটা মেয়ের কন্ঠ। )
- হ্যালো কে?
( হিমাদ্র ফিসফিসিয়ে কথাটি বললো। যদি নীলিমা এসে পরে। )
- আমি।?
- আমি কে?
- তোমার বউ। ছাদে আসো।
( হিমাদ্রর মনে তখন সুখের আনন্দে লাফিয়ে উঠলো রুমের ভেতর। তারপর ছাদে। ছাদে গিয়ে দেখে নীলিমা নেই। হঠাৎ পিছন থেকে চিমটি। ঘুরে তাকাতেই দেখে নীলিমা । আজ ছাদে চাঁদের আলোতে ঝকঝক করছে ছাদ টা। নীলিমা হিমাদ্রের র কাছে আর এক চাঁদ)
- কি ধ্যান্দা ছেলেদের মতো চেয়ে আছো কেন?
- দেখছি তোমায়।
- হইছে এত দিনে কোন খোজ নেই আর আজ দেখছে!! হু----!
( একটু মিষ্টি রাগের সাথে নীলিমা বললো। অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে।)
- এতদিন তোমাকে আমি অনেক খুজেছি। তোমার বাসায় গিয়েছি । কিন্তু শুনলাম তোমরা বাসা ছেড়ে দিয়েছ। কোথায় গিয়েছ ঠিকানা কেউ দিতে পারলো না। অনেক খুজেছি। তোমার ফোন টাও অফ।
- তাই!!!!!!!!!!!!!! আজ তো এসেছি। আর এতদিন আমি আমাকে তোমার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলাম। কারন আমি পাশে থাকলে তোমার পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হতো। আর এখন এই চাকরি টা তুমি পেতে না। আমি মার সাথে তখন কথা বলেছিলাম। আমার আর তোমার কথা। মা তখন খুব খুশি হয়েছিলো। তখন মা বলেছিলো তোমার পড়াশোনা শেষ করে। তোমার চাকরি টা হলেই আমাকে নিয়ে আসবে। পরে আমার মা বাবার সাথে কথা বলেছে। আমার মা বাবা ও রাজি হয়েছে। আমি পাশে থাকলে তোমার পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হতো।
এসব কিছু করেছে তোমার অজান্তে।
- হুম তা ঠিক বলেছো। আমি তখন শুধু তোমার সাথে দেখা করতে, কথা বলতেই, ইচ্ছে করতো। তখন এতটাই আবেগময় ছিলাম যে ভবিষ্যৎ বলে কিছু চিন্তা করতাম না। শুধু সবসময় তোমার ভাবনায় জড়িত থাকতাম।
- আর সে জন্যই তোমার মা কে তোমার আমার সম্পর্কে সব বললাম। মা এতটাই ভালো যে যে সব মেনে নিলো।
- তাই বলে আমাকে এত কষ্ট!!!!
- হুম খুব কষ্ট দিয়ে ছি। এত টুকু কষ্ট না দিলে দুজন কে দুজন ই হারাতে হতো।
( আবার চিমটি হিমাদ্র কে)
- উহ!!! এত চিমটাই কেউ।
- কেন ব্যাথা লাগে?
- না।
- তাহলে আরো দেই।
- নাহ। তাহলে ব্যাথা লাগবে।
চলো রুম এ যাই।
- কেন?
( নীলিমা হিমাদ্রের দিকে চেয়ে আছে। হিমাদ্র ও। হিমাদ্র)
- কেন উত্তর টা না দেই।
- হু তাই। ( চোখ বাকিয়ে)
- এমন চাঁদের রাতে তোমাকে পাবো কখনো চিন্তা করিনি।
- হাত টা ধরো।
( হাত বাড়িয়ে দিলো নীলিমা।)
- হু।
( হিমদ্র হাতটি ধরলো।)
- এভাবে কেন?
- তো কিভাবে।
- শক্ত করে।
- হু।
- এখন থেকে অতিরিক্ত ভালোবাসতে হবে।
- পারমু না।
- পারবে না!!!! নাহ?
( বলতেই নীলিমা জড়িয়ে ধরলো হিমাদ্র কে।)
- এখন পারবো।
- দুষ্টু। চুপ।

                               সমাপ্ত

Comments

  1. নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete
  2. আধুনিক ভালোবাসার গল্প পড়ুন এখানে www.facebook.com/valobasargolpo88

    ReplyDelete
  3. নতুন নতুন চটি গল্প পেতে এখানে ক্লিক করুন
    https://chotigolpobangali.blogspot.com/?m=1

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

দুষ্ট মিষ্টি ভালবাসার রোমান্টিক গল্প '' কোল বলিশ "

====="কোল  বলিস"=============  একদম আমাকে স্পর্শ করবেন না। ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে, খাটে এসে বসলাম। খাটের ঠিক মাঝখানে একজন মেয়ে লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে। মেয়ে বলছি ক্যান, এখন তো নতুন বউ। হ্যা ঠিকই ধরেছেন, মেয়েটা এখন আমার বউ। বাবা মায়ের পছন্দে বিয়েটা করেছি, বিয়ের আগে দেখা করা তো দুরের কথা একবার কথাও বলিনি। বলার প্রয়োজনও মনে করি নী। কারন বাবা মায়ের উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। আর কোন বাবা মা চাইনা তার সন্তান কষ্ট পাক। বিয়ে করে আসার পরে নানান, রতি নীতি শেষ করতে গিয়ে, বউয়ের সাথে কোন কথাই হয়নি। বন্ধুদের সাথে কিছু গল্প গুজব করে নানা রকম সাজেসন নিয়ে ১১ টার দিকে বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম। ঘরে ঢোকার আগে ভাবিরা সব বার বার করে বলে দিয়েছে, দেবরজি বেড়াল মারা চাই কিন্তু । এখানে এসে দেখি তার বিপরিত। যখনই বউয়ের ঘোমটা তোলার জন্য হাত বাড়িয়েছি, যে এত দিন না দেখা চাঁদবদন মুখটা প্রান ভরে দেখব ঠিক তখনই বউ ওই কথাটা বলল। ---কেন ঘোমটা উঠাব না কেন, তুমি এখন আমার বউ। আমার অধিকার আছে, তোমাকে স্পর্শ করার। ---চাইলে আপনি আপনার অধিকার আদায় করতে পারেন, তবে আমার মনটা পাবেন না, দেহ ছাড়া। ---তোমার কি কা

দলিল,খতিয়ান,ফর্সা,ফরায়েজ,খাজনা,নামজারি,দাগ ইত্যাদি কি বিস্তারিত জেনে নেই

= খতিয়ান: মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। . = সি এস খতিয়ানঃ ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত। . =এস এ খতিয়ানঃ ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্