Skip to main content

বাসর রাতে বউয়ের আবদার


বাসর _রাতে_বউয়ের_আবদার

♥♥♥♥ এই যে। আপনি কিন্তু আমাকে আমার
অনুমতি ছাড়া টাচ করবেন না।
: মানে, কি বুঝলাম না।
: বুঝতে হবে না। আপনি আমাকে টাচ
করবেন না। করলে কিন্তু আমি কান্না
করবো।
: ওকে। তাও কান্না করতে হবে না। এখন
একটু সরে বসেন, আমি ঘুমাবো। এভাবে
বিছানার মাঝখানে বসে থাকলে
আমি ঘুমাবো কি ভাবে।
.
: শোনেন আমি আপনার ৫ বছরের ছোট।
তাই আমাকে আপনি বলবেন না।
আমাকে আপনি তুমি করে বলবেন। আর
আমি আপনাকে আপনি করে বলবো।
: কেনো এমনটা হবে। হয় দুজনে তুমি
বলবো না হয় আপনি।
: দেখুন কথা না শুনলে কিন্তু কান্না
করবো।
: কি আজব,,,, কথায় কথায় কাদতে হবে
নাকি।
: না। আগে বলেন রাজি কিনা।
: ওকে, রাজি। তুমি ঘুমাবে না।
.
: শোনেন আজ রাতে আমি আপনি কেউ
ঘুমাবো না।
: কেনো।
: আমি না সারা জীবন কোন প্রেম
করিনি। সব সময় ভেবেছি, যাকে বিয়ে
করবো, তার সাথেই প্রেম করবো। আর যত
দিন তাকে ভালবাসতে পারবো না
তত দিন তাকে টাস করতে দিব না।
: ওহহ আচ্ছা। এর সাথে না ঘুমানোর কি
কারণ বুঝলাম না।
: আপনি আজ ঘুমাবেন না। আজ সারা
রাত আপনার সাথে গল্প করবো।
: কি গল্প।
.
: আমার বরকে নিয়ে আমি যত স্বপ্ন
দেখছি,,,, সেই গল্প।
: এমা,,,,, আমি না আজ খুব ক্লান্ত। কাল
গল্প করি।
: না,,,,, আজকেই। আপনি ঘুমালে কিন্তু
আপনার গায়ে পানি ঢেলে দিবো।
: কয় কি (এই শীতের রাতে) । না থাক
তার চেয়ে বরং গল্প করি। বলো কি
বলবে।
: আপনি তো আচ্ছা বরিং মানুষ। কথা
বলতেও পারেন না ঠিক ভাবে। আমার
নাম জিজ্ঞেস করেন।
.
: ওহহ আচ্ছা তোমার নামতো রাইসা,
তাই না।
: আরে ধুর এভাবে কি কেউ জিজ্ঞেস
করে।
: তাহলে কি ভাবে জিজ্ঞেস করে।
: বলবেন,,,, "তোমার নাম কি। "
: কিন্তু আমি তো তোমার নাম জানি।
: ইহহহহ,,,,, আপনাকে কিন্তু । যা
বলতে বলছি তাই বলেন।
: ওকে,,,, তোমার নাম কি?
: আমি রাইসা।
: কিসে পড়ো?
: অনার্স ২য় বর্ষ।
: আর কি?
: ধুর ছাই,,,, কি বরিং মানুষ আপনি।
: আবার কি করলাম।
: ওকে আপনার প্রশ্ন করতে হবে না। আমি
নিজে থেকেই বলছি।
.
.
: যানেন আমার সব ফ্রেন্ড রা রিলেশন
করতো। কিন্তু আমি করতাম না।
: কেনো।
: কারণ আমি আমার বরের দুষ্ট মিষ্টি বউ
হতে চাইছি সব সময়।
: কি রকম।
: আমি সব সময় চাইছি,,,, আমার সব
ভালোবাসা আমি আমার বরকে
দিবো। আর ওকে খুব জ্বালাবো।
: কি রকম?
: জানেন আমার চাহিদা গুলো খুব
সামান্য। আমার বাড়ি, গাড়ি, ভালো
পোশাক, দামি ফার্নিচার কিছুই
চাইনা।
.
: তাহলে কি চাই।
: রোজ সকালে আপনি যখন অফিসে
যাবেন, তখন আমার কপালে একটা চুমু
দিবেন।
: আর।
: দুপুরে খাবার আগে যেখানেই
থাকেন, আমাকে একটা কল দিবেন। না
হলে আমি না খেয়েই থাকবো।
: ওকে দিবো। আর।
: অফিস থেকে ফেরার সময় আমার জন্য,
চকলেট, আইসক্রিম, ফুসকা, কিছু না কিছু
আনতে হবে।
: আর।
.
: যদি কখনো ভুলে যান তবে আবার
বাইরে পাঠাই দিবো।
: ওকে আনবো। আর।
: ভালবাসা দিবস, মেরেজ ডে, সহ সব
ভালো ভালো দিনে আমায় নতুন করে
প্রপোজ করতে হবে। কিন্তু কোন ফুল
দেওয়া যাবে না।
: এটা কেমন কথা।
: জী এমনি কথা।
: আর।
: আমার কুয়াশা, চাদনী রাত, ঠান্ডা খুব
ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে
ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। ব্যস্ত থাকলে
বলবো না।
: ওকে।
.
: মাঝে মাঝে চাদনী রাতে, বেল
কোনিতে বসে এক কাপে দুজন কফি
খাবো।
: এক কাপে কেন?
: হুম এক কাপেই খাবো।
: ওকে, আর
: মাঝে মাঝে বৃষ্টির রাতে ছাদে
গিয়ে দুজন ভিজবো। আর তুমি কদম ফুল
দিয়ে আমায় প্রপোজ করবে।
: এই শহরে কদম ফুল কই পাবো।
: আমি জানি না। আর রাগ করলেও কদম
ফুল দিয়ে রাগ ভাঙ্গাতে হবে।
: এটাতো রিতিমত টর্চার। সারা বছর
কদম ফুল কই পাবো।
: আমি জানি না।
: আচ্ছা অন্য ফুলের কথা বলো।
: না। কদম ফুল না দিতে পারলে আমায়
কোলে নিতে হবে। যতখন মন ভালো
হয়নি ততখন কোলে নিয়ে থাকতে হবে।
: এই ৪৮ কেজির বস্তা কোলে নিলে
আমি বাচবো।
.
: আমি জানি না। কদিন পর আরো
মোটা হবো। তবুও কোলে নিতে হবে।
: বলেকি। প্রথমের গুলাইতো ভালো
ছিল।
: সব গুলাই ভালো, কোলে নিবে
কিনা বলেন।
: ওকে বাবা নিবো।
: শোনেন।
: হুম বলো।
: আপনার এই বোকা বোকা চশমাটা একটু
খুলবেন।
: কেনো।
: আপনাকে দেখবো। এত মোটা
ফ্রেমের চশমা পড়েন, এখনো ভালো
করে আপনাকে দেখি নাই।
: আচ্ছা আমি ঘুমাবো,,,, কাল কথা হবে
গুড নাইট।
.
.
: এই যে শোনেন এখানে তো একটা
বালিশ, আমি কোথায় ঘুমাবো।
: আমার বুকের উপর।
: মানে?
: তোমার যেমন আমাকে নিয়ে অনেক
স্বপ্ন। ঠিক তেমন তোমাকে নিয়ে
আমার একটা স্বপ্ন। আমার বউ সব সময়
আমার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমাবে।
সারদিন যত রাগ ঝগড়াই হোক , রাতের
বেলা যেন কেউ কখনো অন্যজনকে
ছাড়া না ঘুমাতে পারে।
#বাকিটা_ইতিহাস
                         
                             সমাপ্ত


আর_ভালো_গল্প_পড়তে_চাইলে_পেইজে_লাইক_দিয়ে_পাশে_থাকেন

Comments

  1. নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প পড়তে ভিজিট করুনwww.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

দুষ্ট মিষ্টি ভালবাসার রোমান্টিক গল্প '' কোল বলিশ "

====="কোল  বলিস"=============  একদম আমাকে স্পর্শ করবেন না। ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে, খাটে এসে বসলাম। খাটের ঠিক মাঝখানে একজন মেয়ে লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে। মেয়ে বলছি ক্যান, এখন তো নতুন বউ। হ্যা ঠিকই ধরেছেন, মেয়েটা এখন আমার বউ। বাবা মায়ের পছন্দে বিয়েটা করেছি, বিয়ের আগে দেখা করা তো দুরের কথা একবার কথাও বলিনি। বলার প্রয়োজনও মনে করি নী। কারন বাবা মায়ের উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। আর কোন বাবা মা চাইনা তার সন্তান কষ্ট পাক। বিয়ে করে আসার পরে নানান, রতি নীতি শেষ করতে গিয়ে, বউয়ের সাথে কোন কথাই হয়নি। বন্ধুদের সাথে কিছু গল্প গুজব করে নানা রকম সাজেসন নিয়ে ১১ টার দিকে বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম। ঘরে ঢোকার আগে ভাবিরা সব বার বার করে বলে দিয়েছে, দেবরজি বেড়াল মারা চাই কিন্তু । এখানে এসে দেখি তার বিপরিত। যখনই বউয়ের ঘোমটা তোলার জন্য হাত বাড়িয়েছি, যে এত দিন না দেখা চাঁদবদন মুখটা প্রান ভরে দেখব ঠিক তখনই বউ ওই কথাটা বলল। ---কেন ঘোমটা উঠাব না কেন, তুমি এখন আমার বউ। আমার অধিকার আছে, তোমাকে স্পর্শ করার। ---চাইলে আপনি আপনার অধিকার আদায় করতে পারেন, তবে আমার মনটা পাবেন না, দেহ ছাড়া। ---তোমার কি কা...

রোমান্টিক প্রেমের গল্প "মিষ্টি বউয়ের ভালোবাসা"

আজ অফিস থেকে বাসায় এসে কলিংবেল টা বাজাতেই ফট করে দরজা খুলে গেলো। প্রতিদিন যেখানে ২ - ৩ মিনিট দাড়িয়ে থাকতে হতো । আর আজ কলিংবেল বাজানোর সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো। দরজা খুলতেই চমকে গেল হিমাদ্র। দেখে নীলিমা সামনে দাড়িয়ে! ------------ ------------ - অফিস থেকে আসতে কত সময় লাগে হ্যাঁ! ( নীলিমা রগচটা মেজাজে কথাটি বললো। হিমাদ্র চমকে উঠে বোবা হয়ে গেলো। যে মেয়েটির সাথে এক বছর হলো কোন যোগাযোগ ই নেই । সে আজ হিমাদ্রর সামনে দাড়িয়ে।) - তুমি! - ঐ আমি কি। হুম। ( চেয়ে আছে হিমাদ্র নীলিমার দিকে। কত দিন পর দেখছে। এমন সময় হিমাদ্রের মা এসে।) - কিরে এভাবে দাড়িয়ে আছিস মানে। ( হিমাদ্র ভয়ে।) - মা ও কে? - আমার বউ মা। - কি বলো এগুলা। - হুম সত্যি। - আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না। - তাই না। বৌ মা একটু বুঝাও তো। ( মা চলে গেলো। নীলিমা এসে হিমাদ্র কে চিমটি।) - ইস কি হচ্ছে। ( পিছনে তাকিয়ে নীলিমার দিকে তাকিয়ে রইলো হিমাদ্র। নীলিমার চোখগুলো অনেক কথা বলছে। যা মুখের ভাষায় নয় চোখের ভাষা দিয়েই বুঝে নিতে হয়। এবার আরেক চিমটি) - ইস এরকম করো কেন! - কি রকম করি হু। - তুমি এত দিন কোথায় ছিলে। - তোমার চোখের আড়...

দলিল,খতিয়ান,ফর্সা,ফরায়েজ,খাজনা,নামজারি,দাগ ইত্যাদি কি বিস্তারিত জেনে নেই

= খতিয়ান: মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। . = সি এস খতিয়ানঃ ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত। . =এস এ খতিয়ানঃ ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্...