Skip to main content

দুষ্ট মিষ্টি ভালবাসার রোমান্টিক গল্প '' কোল বলিশ "


====="কোল  বলিস"============= 
একদম আমাকে স্পর্শ করবেন না।
ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে, খাটে এসে বসলাম। খাটের ঠিক মাঝখানে একজন মেয়ে লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে।
মেয়ে বলছি ক্যান, এখন তো নতুন বউ।
হ্যা ঠিকই ধরেছেন, মেয়েটা এখন আমার বউ।
বাবা মায়ের পছন্দে বিয়েটা করেছি, বিয়ের আগে দেখা করা তো দুরের কথা একবার কথাও বলিনি। বলার প্রয়োজনও মনে করি নী। কারন বাবা মায়ের উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। আর কোন বাবা মা চাইনা তার সন্তান কষ্ট পাক।
বিয়ে করে আসার পরে নানান, রতি নীতি শেষ করতে গিয়ে, বউয়ের সাথে কোন কথাই হয়নি।
বন্ধুদের সাথে কিছু গল্প গুজব করে নানা রকম সাজেসন নিয়ে ১১ টার দিকে বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম।
ঘরে ঢোকার আগে ভাবিরা সব বার বার করে বলে দিয়েছে, দেবরজি বেড়াল মারা চাই কিন্তু ।
এখানে এসে দেখি তার বিপরিত।
যখনই বউয়ের ঘোমটা তোলার জন্য হাত বাড়িয়েছি, যে এত দিন না দেখা চাঁদবদন মুখটা প্রান ভরে দেখব ঠিক তখনই বউ ওই কথাটা বলল।
---কেন ঘোমটা উঠাব না কেন, তুমি এখন আমার বউ। আমার অধিকার আছে, তোমাকে স্পর্শ করার।
---চাইলে আপনি আপনার অধিকার আদায় করতে পারেন, তবে আমার মনটা পাবেন না, দেহ ছাড়া।
---তোমার কি কারো সাথে সম্পর্ক ছিল????
---না...
যাক বাঁচা গেল, আমি তো ভাবছিলাম কারো সাথে সম্পর্ক আছে, তাই...
---তাহলে আমাকে কি পছন্দ নয়????
---তাও না। আসলে আমি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আর আমি আমার লেখা পড়াটা শেষ করতে চাই।
---তোমার পরিবারকে বললেই পারতে, লিখাপড়া শেষ করে বিয়ে করবে।
---বলেছিলাম, বাবা মা বলছে এত পড়ে কি হবে, মন দিয়ে সংসার কর।
---হু, বুঝলাম, কতদিন লাগবে পড়াশোনা শেষ করতে।
---বছর দুয়েক।
---ঠিক আছে, তুমি তোমার পড়া শেষ করবে আগে, এর পর অন্য সব। এখন ঘুমাও।
---হু
বলেই ফ্রেশ হতে গেল, আমিও চেন্জ করে নিয়ে শুয়ে পরলাম।
---এই আপনি এখানে কেন।
---আমি ঘুমাব না????
---আপনি নিচে ঘুমাবেন।
বলেই একটা বালিশ নিচে ফেলে দিল, সাথে একটা কাঁথা।
অনেক খুজে কোলবালিশটা পেলাম,
কোলবালিশটা জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলাম।
এত দিন ভেবেছিলাম বিয়ের পর কোলবালিশটা মুক্তি পাবে, সাথে আমিও একটা (...) পাব সেটা জড়িয়ে ধরেই ঘুমাব।
কিন্তু কিসের কি, এখন বিছানা থেকেই বিতারিত।বিয়ের পরেও এই কোলবালিশটাই একমাত্র সম্বল।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না।
মুয়াজ্জিনের আযানের, ঘুম থেকে উঠে দেখি লিপি এখনো ঘুমিয়ে আছে।
এই একটা সুযোগ রাতে এই মায়াবি মুখটা দেখতে পারিনি, এখন মিস করা যাবে না।
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি, আল্লাহর এক অপুর্ব সৃষ্টি, সকালের সূর্যের আলোই মায়াবি আভাটা ছড়িয়ে পরছে বহু গুনে। যেন ফুটন্ত গোলাপ। যেন সকালে ঝড়া সবুজ ঘাসের ডগায় এক বৃন্দু শিশির।
ফ্যানের বাতাসে কিছু চুল বার বার চোখের উপর এসে পরছে।
ঠিক মতন দেখতেও দিচ্ছে না মায়াবতি টাকে।
একটু ফু দিয়ে চুলগুলো সরিয়ে দিলাম, সংগে সংগে মায়াবতিটা জেগে উঠল।
---এই আপনি আমার কাছে কি করছেন, আপনাকে না বলেছি আমার কাছে আসবেন না।
---আসলে আযান হচ্ছিল, নামাজের জন্য ডাকতে এসেছিলাম, কিন্তু সকালের রোদটা তোমার মুখে পরাই এক অপরুপ দৃশ্য সৃষ্টি হয়েছিন সেটাই দেখছিলাম।
---আমাকে দেখা লাগবে না। এখন নামাজে যান।
অজু করে নামাজের জন্য মসজিদে এলাম, নামাজ পরে বাড়ি ফিরলাম।
লিপি মায়ের সাথে টেবিলে নাশতা সাজাচ্ছে, আমাকে দেখে মা ডাক দিল
---শিমুল এই দিকে আয়। নাশতা করে যা।
---আসছি।
বাবা বসে আছে পাশেই আমি বসলাম। ঠিক সামনের চেয়ারে মা লিপিকে বসিয়ে দিল।
আমি নিজের খাওয়া ফেলে ওর খাওয়াই দেখছি, আমি যে ওর দিকে তাকিয়ে আছি দেখে রাগে কটমট করতে লাগল, বাবা মায়ের সামনে না পারছে কিছু বলতে না পারছে সইত
এসব দেখে আমি মুচকি হাসছি, তাতে মহারানী যেন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে।
খাওয়া শেষ করে ঘরে এলাম, একটু বিশ্রান নেই, পরে আবার ওই বাড়ি থেকে মানুষ আসবে আমাদে নিয়ে যেতে।
বউ রুমে ঢুকেই দরজা আটকে দিল, এবার বুঝি আমার কপাল খুলছে। রাতের পাওনা টা এখন পাব।
---এই আপনি ওভাবে তাকিয়ে ছিলেন কেন আমার দিকে হু????
---ও মা আমি আবার তোমার দিকে কখন তাকালাম আমি তো আমার বউয়ের দিতে তাকিয়ে ছিলাম, যানো আমার বউটা না খুব সুন্দর ।
---সেইটা আমি জানি, আমি খুব সুন্দর। আপনাকে বলতে হবে না। আর আমার দিকে তাকাবেন না হু......
দুপুরের দিকে আমাদের নিতে এলো, বেশ কয়েকজন ভাবি ও শালিকা আসছে।
সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
মনে মনে ভাবলাম এবার একটা সুযোগ পাওয়া গেছে, ওকে রাগানোর।
যেই ভাবা সেই কাজ, ভাবি শালিকাদের সাথে অল্পতেন ভাব জমে গেল। বিশেষ করে ওর ছোট বোন পিংকির সাথে তো জমে ক্ষির।
বউ আমাদের এসব দেখছে আর লুচির মত ফুলছে, পারছে না এত মানুষের মাঝে ফাটতে। রাগের চোটে মুখটাতে লাল আভা ছড়িয়ে পরেছে, এতে লিপিকে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে।
হাতের কাছে পাইলে গাল দুইডা একটু টিইপ্পা দিতাম.....
বিকেলে ওদের বাড়ি রওনা হলাম। সন্ধার আগেই পৌছে গেলাম, সেখানে গিয়ে বড়দের সালাম ও কুষল বিনিময় শেষে লিপির রুমে গিয়ে বসলাম। আবারো অন্য ভাবি ও শালিকারা আসলো বেশ রত পর্যন্ত চলল সেই গল্প।
বউ যে সেই দুপুর হতে রেগে আছে।
রাতের খাবার খেয়ে রুমে আসলাম।
একে একে সবাই বিদায় নিল, এবার বউ ঘরে এলো।
একটা পাটি আর বালিশ দিয়ে বলল
---নিচে ঘুমান।
---আরে শ্বশুর বাড়ি আসছি আজতো অন্তত উপরে ঘুমায়।
---তাহলে যান ওদের সাথে গিয়ে ঘুমান।
---কিযে বল না
---কেন ঢলা ঢলি করে গল্প করার সময় মনে ছিল না?????
আর কিছু না বলে শুয়ে পরলাম, কালতো কোলবালিশটা ছিল আজ কাকে জড়িয়ে ধরব। অনেক কষ্টে রাতটা পার করলাম।
সকাল হতেই ভাবিরা ধরল
----কি নতুন জামায়ের ঘুম কেমন হল।
---যে ননদীকে দিয়েছেন আমার আর ঘুম।
ভাবিরা সবই বেশ ইয়ারকি ঠাট্টা করলো। একটা জিনিস বেশ লক্ষ করলাম, এই বাড়ির সবাই বেশ মিশুক মনের মানুষ।
সেদিন বাড়ি ফিরে এলাম, সবকিছু ঠিক থাকলেও আমার জিবনটাই পাল্টে গেছে।
এখন লিপির পড়াশোনা চলছে, সেদিন বাবা মাকে বলতেই সবাই অনুমতি দিয়েছিল।
অফিস যাবার সময় কলেজে নামিয়ে দিয়ে যায়, নিজেই বাড়ি ফিরে।
বাড়িতে মায়ের সাথে হাতে হাতে সব কাজ করে, যেন পাকা গিন্নী। সব কিছুতেই আধিপত্ত বিস্তার করে বসেছে।
আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে, প্রমোসন হয়ছে আমার এখন নিচ হতে বিছানাতে ঘুমানোর অনুমতি পেয়েছি,
এখনো তাকে স্পর্শ করার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে।ঘরে বিয়ে করা বউ থাকতেও কোলবালিশ নিয়ে ঘুমাতে হয়, কপাল আমার।
যথারিতি ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরে এসে নাশতা করতে গেলাম।
একি টেবিল তো একদম ফাকা, নাশতা কই গেলো।
---লিপি এই লিপি????
---কি হয়ছে কি, বাড়িতে কি ডাকাত পরছে যে ষাঁড়ের মত চিল্লাচ্ছেন?????
---নাশতা কই????
---নাশতা শেষ আব্বু আম্মু আর আমি খেয়ে নিয়েছি।
---আমার টা কই, কি খেয়ে অফিস যাব?????
---তার আমি কি জানি, সকালে যাকে নিয়ে সপ্ন দেখলেন আর কোল বালিশ ধরে গড়াগরি করলেন তাকে বলুন নাশতা দিতে।
বলেই মহারানী সামনে থেকে চলে গেলো।
এইবার মনে পরছে, সকালের দিকে সুন্দর একটা সপ্ন দেখছিলাম, আর তাতে নিলিমা নামের একটা মেয়ারে নিয়েই কাহিনিটা। কিন্তু বউ এইটা জানল কি করে। আর এতে ওরই বা রাগার কারন কি।
অনেক ভেবে আসল কারন টা পেলাম।
মেয়েরা সব পারলেও স্বামীর ভাগ কাওকে দিবে না। কিন্তু ও তো আমারে ভালবাসে না.....
খালি পেটেই অফিসের জন্য বের হলাম, হোটেল থেকে নাশতা করে অফিসে এলাম, দুপুরে ক্যান্টিনেই খেলাম।
রাতে বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে রুমে এলাম।
তখনই বউ রুমে এলো...
---চলুন খেয়ে নিবেন এখন।
---না আমি খাবনা। খিদে নেই আমার (রাগ করে)
---না খাইলে নাই, আমি খেয়ে নিচ্ছি, সারাদিন না খেয়ে আছি খুব খুদা লাগছে।
বলেই চলে গেলো। আমিও এলাম কি করব??? ক্যান্টিনের খাবেরে কি পেট ভরে???
আর ও কী বল্ল সারাদিন খাইনি মানে কী???? নিশ্চয় আমারে বোকা বানাচ্ছে, না খেয়ে থাকার মেয়ে না।
টেবিলে এসে অবাক সব আমার পছন্দের খাবার রান্না হয়েছে আজ।
টেবিলের সামনে যেতেই মা বলল বস সবাই আজ এক সাথে খাব, বউমা সেই সকাল থেকেই না খেয়ে আছে। তুই খাসনি বলে।
বাহ এই মেয়ে তাহলে সত্যি না খেয়ে আছে, তাও আবার আমি খাইনি বলে????? কাহিনি কী??? গভির চিন্তার বিষয়। পেটে ছুচো ডন মারছে, এখন আগে খেয়ে নিই, চিন্তা ভাবনা পরে....
তো খেতে বসলাম, আজ আমি নয় লিপি আমার দিকে তাকিয়ে আছে, চোখে চোখ পরতেই চোখ নামিয়ে নিচ্ছে।
---মা আজকের রান্নাটা তো দারুন হয়ছে।
---আজ সব বউমা রান্না করছে।
---বাহ তোমার রান্নাটা তো খুব ভাল।
আমার মুখে তাঁর রান্নার প্রশংসা সুনে একটু লজ্জা পেল মনে হয়, সাথে খুশিও। এই প্রথম ওর প্রশংসা করলাম।
ভাল জিনিসের প্রশংসা তো করতেই হয়, তাই না..
খাওয়া শেষে রুমে এলাম ঘুমাব বলে। কিন্তু আমার কোলবালিশটা নেই। সারা রুম খুজলাম কোথাও নেই।
---লিপি এই লিপি।
---আবার কী হইল, চিল্লাচ্ছেন....
---আমার কোল বালিস কই????
---ফেলে দিয়েছি... এখন থেকে কোলবালিশ ছাড়া ঘুমাবেন, কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে অন্য মেয়েকে নিয়ে সপ্ন দেখা চলবে না।
বলেই চলে গেল, আমি মনের দুঃখ নিয়ে শুয়ে পরলাম।
আগে আমাকে সহ্য করতে পারত না, এখন কোলবালিসটাকেও সহ্য করতে পারছেনা।
হাতের কাজ শেষ করে কিছুখন পরে বউ রুমে এলো।
দরজা আটকে দিয়ে শুয়ে পরল।
কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই। এতদিন কোলবালিশ ছিল ঐইটা ধরে ঘুমাতাম। আজ কি ভাবে ঘুমাবো????
---কি ঘুম আসছে না কোলবালিশ ছাড়া,
বলেই আমার দিকে এগিয়ে এলো, আমার বুকের সাথে মিশিয়ে নিল নিজেকে। আমার দুই হাত টেনে জরিয়ে নিল নিজেকে।
আমি নিরব দর্শকের মত সব দেখছি। যাকে স্পর্শ করা নিষেধ আজ নিজেই আমার বুকের সাথে মিশে যাচ্ছে।
এ এক অন্য রকম অনুভূতি.... হাজার বছরের কাঙ্খিত ছোয়া যা পাওয়ার জন্য বিভর ছিলাম, আজ এভাবে পাব ভাবিনি।
তাহলে কোলবালিস আর সকালের সপ্নোই কাজ হয়ছে.....
---আজ থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবেন, আমিই আপনার কোলবালিশ, আর নিলিমা না কে যেন ওকে ভুলে যান। আমি ছাড়া অন্য কোন মেয়ের নাম যেন না শুনি আপনার মুখে।
----বাহ হঠাৎ এত ভালবাসা, কোথা থেকে উদয় হল????
---হঠৎ নয় আগেও ছিল, আজ....
---আর বলতে হবেনা। বলেই আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিলাম।
---আপনি শুধু আমার, অন্য কারো নন বুঝলেন.....
---আমি তো আগেই বুঝছিলাম, বুদ্ধি কম বলে তুমিই বুঝনি...
----এখন তো বুঝেছি....
আমি আরেকটু শক্ত করে জরিয়ে ধরে বললাম, বুঝলাম মহারানী, এখন থেকে তুমিই আমার একমাত্র কোলবালিশ.......


কেমন হয়েছে গল্প টা অবশ্যই কমেন্টে জানাবন।

Comments

  1. নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প পড়তে ভিজিট করুনwww.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

রোমান্টিক প্রেমের গল্প "মিষ্টি বউয়ের ভালোবাসা"

আজ অফিস থেকে বাসায় এসে কলিংবেল টা বাজাতেই ফট করে দরজা খুলে গেলো। প্রতিদিন যেখানে ২ - ৩ মিনিট দাড়িয়ে থাকতে হতো । আর আজ কলিংবেল বাজানোর সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো। দরজা খুলতেই চমকে গেল হিমাদ্র। দেখে নীলিমা সামনে দাড়িয়ে! ------------ ------------ - অফিস থেকে আসতে কত সময় লাগে হ্যাঁ! ( নীলিমা রগচটা মেজাজে কথাটি বললো। হিমাদ্র চমকে উঠে বোবা হয়ে গেলো। যে মেয়েটির সাথে এক বছর হলো কোন যোগাযোগ ই নেই । সে আজ হিমাদ্রর সামনে দাড়িয়ে।) - তুমি! - ঐ আমি কি। হুম। ( চেয়ে আছে হিমাদ্র নীলিমার দিকে। কত দিন পর দেখছে। এমন সময় হিমাদ্রের মা এসে।) - কিরে এভাবে দাড়িয়ে আছিস মানে। ( হিমাদ্র ভয়ে।) - মা ও কে? - আমার বউ মা। - কি বলো এগুলা। - হুম সত্যি। - আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না। - তাই না। বৌ মা একটু বুঝাও তো। ( মা চলে গেলো। নীলিমা এসে হিমাদ্র কে চিমটি।) - ইস কি হচ্ছে। ( পিছনে তাকিয়ে নীলিমার দিকে তাকিয়ে রইলো হিমাদ্র। নীলিমার চোখগুলো অনেক কথা বলছে। যা মুখের ভাষায় নয় চোখের ভাষা দিয়েই বুঝে নিতে হয়। এবার আরেক চিমটি) - ইস এরকম করো কেন! - কি রকম করি হু। - তুমি এত দিন কোথায় ছিলে। - তোমার চোখের আড়

দলিল,খতিয়ান,ফর্সা,ফরায়েজ,খাজনা,নামজারি,দাগ ইত্যাদি কি বিস্তারিত জেনে নেই

= খতিয়ান: মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। . = সি এস খতিয়ানঃ ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত। . =এস এ খতিয়ানঃ ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্