Skip to main content

কোটা বৈষম্যের ভুক্তভোগীরাই ভাল বোঝেন কোটা কি ? বিস্তারিত পড়ুন.......



কোটা বৈষম্যের ভুক্তভোগীরাই ভাল বোঝেন কোটা কি

১/ প্রথম শ্রেণীর ক্যাডার, ননক্যাডার, ব্যাংকার, Engineer, নিয়োগে কোটা মুক্ত রাখা উচিত । দেশ পরিচালনার জন্য মেধার বিকল্প নেই । মেধাবী যে ধর্ম, বর্ন, গোত্র , এলাকার হউক না কেন সে মেধায় বেরিয়ে আসবেই ।

২/ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকুরি নিয়োগে জেলাকোটাসহ সবকোটাকে নতুনকরে বিন্যাস করা উচিত। এক্ষেত্রে আরো নতুন কোটা যোগ করা যেতে পারে যেমন :
ক) হাওর কোটা । কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ , মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার জীবনের মান অত্যন্ত নিম্ন মানের এবং এরা সত্যিকারের পিছিয়েপড়া (Backwards) জনগোষ্ঠী ।
খ) পাহাড়ী কোটা । চট্টগ্রাম , রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, সিলেট, মৌলভীবাজারের পাহাড়ে বসবাসরত উপজাতিরা কোটা পেলে সেখানে বসবাসরত অ-উপজাতিরা কোটা পাওয়ার দাবিদার ।
গ) চা শ্রমিক কোটা । পন্চগড়, চট্টগ্রাম , সিলেট, মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরা উপজাতি কোটা পায় না কিন্তু তারা অন্যতম পিছিয়েপড়া (Backwards) জনগোষ্ঠী ।
ঘ) কওমী মাদ্রাসা কোটা । সরকার কওমী সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছে । কিন্তু তারা একেবারেই প্রচলিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ।এরাও একধরনের পিছিয়েপড়া (Backwards) জনগোষ্ঠী । কেউ যদি প্রতিযোগিতামূলক চাকুরি পরীক্ষায় সন্তুষজনক ফলাফল করে তাকে সহায়তা করা সরকারের উচিত ।
৩/ সরকারি চাকুরিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা উচিত ।পোষ্য কোটার কারনে সরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যা পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে যেমন: রেলওয়ে, প্রাথমিক স্কুল ।

৪/ নারী কোটার চেয়ে কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ বেশী দরকার । প্রতিটি ইউনিয়ন ভিত্তিক ডে কেয়ার সেন্টার দরকার ।

৫/ অতিরিক্ত নারী কোটার ফলাফল ভাল নয় । যেমন: প্রাথমিক স্কুল ।

৬/ সরকারি নার্স নিয়োগে কোটা ও বয়স সংস্কার করা এখন সময়ের দাবী ।

৭/ কোটার বিশেষ নিয়োগ যেমন: ২৩তম বিসিএস, ৩২তম বিসিএস, সোনালী ব্যাংকার, বাংলাদেশ ব্যাংকার, ATEO, নার্স, প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক, না দেয়াই উচিত । এতে কোটাধারীরা এবং কোটাহীনরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপরীতদলে বিভক্ত হয়ে যায় ।

৮/ চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি চাকুরিতে জেলা প্রয়োজনে উপজেলা কোটাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত ।

৯/ সকল অনগ্রসর, পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে (Backwards Classes) একটা পর্যায় পর্যন্ত কোটা সুবিধা দিয়ে মৌলিক চাহিদার ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব ।

Comments

  1. নতুন নতুন valobasar Golpo গল্প পড়তে ভিজিট করুন
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

দুষ্ট মিষ্টি ভালবাসার রোমান্টিক গল্প '' কোল বলিশ "

====="কোল  বলিস"=============  একদম আমাকে স্পর্শ করবেন না। ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে, খাটে এসে বসলাম। খাটের ঠিক মাঝখানে একজন মেয়ে লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে। মেয়ে বলছি ক্যান, এখন তো নতুন বউ। হ্যা ঠিকই ধরেছেন, মেয়েটা এখন আমার বউ। বাবা মায়ের পছন্দে বিয়েটা করেছি, বিয়ের আগে দেখা করা তো দুরের কথা একবার কথাও বলিনি। বলার প্রয়োজনও মনে করি নী। কারন বাবা মায়ের উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। আর কোন বাবা মা চাইনা তার সন্তান কষ্ট পাক। বিয়ে করে আসার পরে নানান, রতি নীতি শেষ করতে গিয়ে, বউয়ের সাথে কোন কথাই হয়নি। বন্ধুদের সাথে কিছু গল্প গুজব করে নানা রকম সাজেসন নিয়ে ১১ টার দিকে বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম। ঘরে ঢোকার আগে ভাবিরা সব বার বার করে বলে দিয়েছে, দেবরজি বেড়াল মারা চাই কিন্তু । এখানে এসে দেখি তার বিপরিত। যখনই বউয়ের ঘোমটা তোলার জন্য হাত বাড়িয়েছি, যে এত দিন না দেখা চাঁদবদন মুখটা প্রান ভরে দেখব ঠিক তখনই বউ ওই কথাটা বলল। ---কেন ঘোমটা উঠাব না কেন, তুমি এখন আমার বউ। আমার অধিকার আছে, তোমাকে স্পর্শ করার। ---চাইলে আপনি আপনার অধিকার আদায় করতে পারেন, তবে আমার মনটা পাবেন না, দেহ ছাড়া। ---তোমার কি কা...

রোমান্টিক প্রেমের গল্প "মিষ্টি বউয়ের ভালোবাসা"

আজ অফিস থেকে বাসায় এসে কলিংবেল টা বাজাতেই ফট করে দরজা খুলে গেলো। প্রতিদিন যেখানে ২ - ৩ মিনিট দাড়িয়ে থাকতে হতো । আর আজ কলিংবেল বাজানোর সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো। দরজা খুলতেই চমকে গেল হিমাদ্র। দেখে নীলিমা সামনে দাড়িয়ে! ------------ ------------ - অফিস থেকে আসতে কত সময় লাগে হ্যাঁ! ( নীলিমা রগচটা মেজাজে কথাটি বললো। হিমাদ্র চমকে উঠে বোবা হয়ে গেলো। যে মেয়েটির সাথে এক বছর হলো কোন যোগাযোগ ই নেই । সে আজ হিমাদ্রর সামনে দাড়িয়ে।) - তুমি! - ঐ আমি কি। হুম। ( চেয়ে আছে হিমাদ্র নীলিমার দিকে। কত দিন পর দেখছে। এমন সময় হিমাদ্রের মা এসে।) - কিরে এভাবে দাড়িয়ে আছিস মানে। ( হিমাদ্র ভয়ে।) - মা ও কে? - আমার বউ মা। - কি বলো এগুলা। - হুম সত্যি। - আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না। - তাই না। বৌ মা একটু বুঝাও তো। ( মা চলে গেলো। নীলিমা এসে হিমাদ্র কে চিমটি।) - ইস কি হচ্ছে। ( পিছনে তাকিয়ে নীলিমার দিকে তাকিয়ে রইলো হিমাদ্র। নীলিমার চোখগুলো অনেক কথা বলছে। যা মুখের ভাষায় নয় চোখের ভাষা দিয়েই বুঝে নিতে হয়। এবার আরেক চিমটি) - ইস এরকম করো কেন! - কি রকম করি হু। - তুমি এত দিন কোথায় ছিলে। - তোমার চোখের আড়...

দলিল,খতিয়ান,ফর্সা,ফরায়েজ,খাজনা,নামজারি,দাগ ইত্যাদি কি বিস্তারিত জেনে নেই

= খতিয়ান: মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। . = সি এস খতিয়ানঃ ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত। . =এস এ খতিয়ানঃ ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্...